উক্ত রেলিটি বেতগাড়ী জিরো পয়েন্ট থেকে বেতগাড়ী বাসস্ট্যান্ড এবং ঝ্যাল্লার স্ট্যান্ড প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে প্রতিবাদ সভা শুরু করে। প্রতিবাদ সভায় বেতগাড়ী বি এন পির আহ্বায়ক কমিটির প্রবীন সদস্য মোঃ আব্দুল হামিদ ভাসানি বলেন,আমি ৪০ বছর থেকে বি এন পি করে আসতেছি, বেতগাড়ীতে বি এন পির নেতা কর্মীদের সুখে দুঃখে মোঃ সহিদুল ইসলামের অবদান অস্বীকার করার মত নয়। তিনি বিগত ১৬ বছরে নির্যাতিত নেতা কর্মীদের অর্থ শ্রম দিয়ে পাশে থেকেছেন। যারা জেলে গেছে তাদের সংসারের দেখভালসহ আইনি লড়াই, জেলখানায় তাদের দেখা করা, পিসি পাঠানোসহ সব কিছু করেছেন। দু’বছর আগে যে আওয়ামীলীগ করত আজ সে বি এন পির বেশ ধারণ করে বেতগাড়ীতে বিশৃঙ্খলা করার যে অপচেষ্টা করতেছে তা আমরা সবাই রুখে দিব।
বিজ্ঞাপন
সাবেক ছাত্রনেতা গঙ্গাচড়া উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মো.হাবিবুর রহমান রিপন বলেন, আমাকে যখন থানায় তিনদিন গুম করে রেখে জেলে পাঠানো হয় আমার বাবা তিন দিন যখন আমার খোঁজ পাচ্ছিলেন না আমার বাবা স্ট্রক করেন বর্তমানে তিনি ঢাকা হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন , সেই দুঃসময় মো.সহিদুল ইসলাম আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছন,আমার জেলখানায় খোঁজ খবর রেখেছেন,আমার জন্য তার অর্থ খরচ করে আইনি লড়াই লড়েছেন। আমাদের এই কঠিন দুঃসময়ে কোথায় ছিলেন এই হাইব্রিড নেতারা? আজকে যখন আমরা দলকে সুসংহত করব তখন ত্যাগী নেতা সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাচ্ছি ।
বেতগাড়ী ইউনিয়ন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মো. নূরুল আমিন নাদিম বলেন, বি এন পিতে আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসি নাই, বেতগাড়ী বি এন পির ইতিহাস খোঁজেন মো. সহিদুল ইসলামের অবদান কি,তিনি বি এন পির প্রত্যেক নেতা কর্মীর দুঃসময়ে অর্থ ও শ্রম দিয়ে পাশে ছিলেন । আজকে তার মত একজন ত্যাগী নেতার বিরুদ্ধে অন্যায়, অপপ্রচার আমরা সহ্য করব না। তাই সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান, আপনাদের বি এন পির দুঃসময়ে যে অপকর্ম করেছেন সব ফিরিস্তি আমরা ফাঁস করব ।
সাবেক সহ সভাপতি যুবদল রংপুর জেলা এবং বেতগাড়ী ইউনিয়ন বি এন পির সাবেক সভাপতি মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বি এন পির দুঃসময়ে কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছি তা আমি বলব না,শত শত নেতা কর্মির মুখে আপনারাই শুনলেন। শধু একটি কথা বলব, আজকে ডানে বায়ে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির ভাড়া করা দু চারজনকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে প্রোপাগান্ডা, মিথ্যাচার করছেন তার জবাব বেতগাড়ীর মুলধারার নেতাকর্মীরাই দিবেন, আমাকে বেতগাড়ীতে পদ পদবীতে রাখার দায়িত্ব উপজেলা বা জেলা নেতৃবৃন্দের,আপনারা আমাকে রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত দেয়ার কে? ইনশাআল্লাহ খুব শিঘ্রই আপনারা বি এন পির দুঃসময়ে কে কতটুকু অবদান রেখেছেন সে ফিরিস্তা আমরা তুলে ধরব।
বিজ্ঞাপন
রেলি ও পথসভার সভাপতিত্বে ছিলেন মোঃ সহিদুল ইসলাম সাবেক সহ সভাপতি যুবদল রংপুর জেলা এবং বেতগাড়ী ইউনিয়ন বি এন পির সাবেক সভাপতি। বক্তব্য রাখেন, মো.নূরুল আমিন নাদিম সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেতগাড়ী ইউনিয় এবং সভাপতি বেতগাড়ী ইউনিয়ন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক,যুবনেতা মোঃ হাবিবুল বাশার, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. আব্দুুল হামিদ ভাসানি, সাবেক ছাত্রনেতা মো. আহসান হাবিব মিলন, মো. মহুবার রহমান স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক গঙ্গাচড়া উপজেলা শাখা,
মো. আসাদ মিয়া যুগ্ন আহবায়ক স্বেচ্ছাসেবক দল গঙ্গাচড়া উপজেলা শাখা, মো. সাবের মিয়া সভাপতি সাবেক বেতগাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল, মো. হাসেন আলী যুবনেতা বেতগাড়ী ইউনিয়ন শাখা, মোঃ জিয়াউর রহমান যুগ্ন আহবায়ক স্বেচ্ছা সেবক দল বেতগাড়ী ইউনিয়ন শাখা, মো. হামিদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক ৫ নং ওয়ার্ড, মো. ইদ্রিস আলী সভাপতি ৫ নং ওয়ার্ড,মো. লাল মিয়া সাধারণ সম্পাদক ২ নং ওয়ার্ড,মো. আব্দুল খালেক যুবনেতা ১ নং ওয়ার্ড মো. টন্ডু মিয়া সভাপতি ১ নং ওয়ার্ড মো. রিয়াজ সভাপতি ছাত্রদল বেতগাড়ী ইউনিয়ন শাখা, মো. মাসুদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক বেতগাড়ী ইউনিয় ছাত্রদল,মোঃ হারেছ প্রচার সম্পাদক ছাত্রদল, মো.শাহিনূর রহমান সূজন সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রদল বেতগাড়ী ইউনিয়ন শাখা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
রেলি ও পথসভা পরিচালনা- করেন,সদস্য সচিব বেতগাড়ী ইউনিয়ন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি ও যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো হাবিবুর রহমান রিপন।