রংপুরের পীরগাছায় বেগুন চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। দিন দিন চাষের পরিধি বাড়াচ্ছেন তারা। এখানকার উৎপাদিত বেগুন এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বছরে অন্য সবজি চাষ করলেও শীত মৌসুমে বেগুন চাষ করেন অনেকেই। আধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল ‘তারা বেগুন’ চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।
লাভের অংকে বেগুন এখন সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকারী ফসল। অন্য ফসলের পাশাপাশি বেগুন চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের কিশামত ছাওলা গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল, তিনি ২৫ শতক জমিতে বেগুন উৎপাদন করে বিক্রি করেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সবজি চাষ করে অন্তত ৮০ হাজার কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষিবিদরা জানান। প্রায় প্রতিটি সবজি চাষে কৃষক ব্যাপক স্বাবলম্বী হয়েছেন। বেশী লাভ জনক সবজির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বেগুন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পীরগাছায় বেগুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২৩ হেক্টর জমি। অর্জন হয়েছে ৩২৫ হেক্টর জমি এবং উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ১৬৩ মে. টন। পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৫ হতে ৬ টাকা, কেজি দরে বেগুন বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০ হতে ১৫ টাকা।উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের কিশামত ছাওলা গ্রামে বেগুন চাষি কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, বেগুন চাষে সফলতার বিস্তারিত। কিশামত ছাওলা গ্রামে ওমর আলী, খালেদুল, জাহাঙ্গীর, মোস্তফা, এরশাদ, কেরামত, নয়া মিয়া ও আব্দুল জলিলসহ অনেকেই বেগুন চাষ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার কিসামত ছাওলা গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুল জলিলের সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক তিস্তা সংবাদ পত্রিকা কে বলেন, গত বছরের শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে ২৫ শতক জমিতে লাল তীর কোম্পানির হাইব্রিড জাতের পারপোলকিং বেগুন লাগিয়েছি। শুরুর দিকে ৫২.৫০ টাকা কেজি দরে বেগুন পাইকারি বিক্রি করেছি। এ যাবত আমি নিজেই বিক্রি করেছি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রায় ৪০ বছর থেকে বেগুন চাষ করি। বর্তমানেও তার জমিতে বেগুন, শসা, লাউ, ডাটা ও পাট শাক আছে। তিনি আরোও বলেন, উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি বিক্রি করে প্রায় ৮০ শতক জমি ক্রয় করেছেন। ছেলে-মেয়েদেরকে লেখা-পড়া করিয়েছেন, বাড়ী-ঘর করেছেন।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি বাজারে বেশি বেশি আসার কারনে বেগুনের দাম একটু কম হলেও কৃষক লাভবান হচ্ছে। বেগুন যেহেতু একবারে নষ্ট হয়না, দীর্ঘদিন যাবত উঠানো যায়।গত একমাস ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত বেগুন। এখনো পর্যন্ত দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে ওঠেছে হাসি।