ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনেক অপচেষ্টা চলছে। সাম্প্রদায়িক হামলা, মামলা বাণিজ্যসহ সারাদেশে ভয়াবহ আইনি সন্ত্রাসবাদ চলছে। দেশে যেমন বৈষম্যের ঠাঁই নাই, তেমনি হয়রানির কোনো সুযোগ নাই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রংপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এসব অপচেষ্টার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ভালো না হলে তাদের মুখোশ উন্মোচনের পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তারা।
সমন্বয়করা বলেন, বর্তমান মামলাগুলোতে যে সব নিরাপরাধ ব্যক্তিকে যুক্ত করা হচ্ছে, মূলত দুটি কারণে তাদের যুক্ত করা হচ্ছে। একটি হলো ব্যক্তিগত শত্রুতা-আক্রোশ ও স্বার্থ। বর্তমানে হত্যা মামলাগুলোতে ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা নথিগুলো চেক করে দেখেছি, অধিকাংশ মানুষেরই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
সমন্বয়করা আরও বলেন, মামলায় এমন কিছু মানুষ আসামি হয়েছে, যারা চায়ের দোকান করে, বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক। অথচ তারা এসবে অভিযুক্ত নয়। এসব বিষয়ে সমাধানের জন্য মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যাতে করে কোনো নিরাপরাধ মামলার আসামি না হয়, হয়রানির শিকার না হয়।
এ সময় তারা বলেন, যারা মামলা করতে চান, আপনারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে যে ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল আইনজীবী রয়েছে, তাদের মাধ্যমে মামলা করবেন। কোনোভাবেই মামলা করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কিংবা প্ররোচিত হবেন না। প্রয়োজনে আপনাদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলন যারা নিরাপরাধ সত্ত্বেও মামলায় যুক্ত হয়েছে কিংবা যুক্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে তাদেরকে মাহিগঞ্জ-হারাগাছ, কোতয়ালী-তাজহাট ও হাজিরহাট-পশুরাম মিলে তিন জোনে আইনি সহায়তা নেওয়ার অনুরোধ জানান সমন্বয়করা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ, জেলার সমন্বয়ক ইমরান হোসেন ও মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ শাহ ফকির।